গোড়ায় গলদ

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ও ওয়েব সিরিজ এখন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও সাড়া জাগাচ্ছে। প্রেক্ষাগৃহে টেনে আনছে দর্শককে। বসিয়ে দিচ্ছে ব্যক্তিগত যন্ত্র বা ডিভাইসের সামনে। বাণিজ্যিক ছবির কাহিনি যেমন লোকে লুফে নিচ্ছে, তেমনি প্রশংসিত হচ্ছে মিডল সিনেমার প্লটগুলোও। তবে এই দৌঁড়ে বরাবরের মতোই পিছিয়ে রয়েছে আর্ট ফিল্ম। পিছিয়ে থাকাটাই স্বাভাবিক। বৌদ্ধিক ও শিল্পসম্মত ছবি দেখে অনুধাবন করার মতো শিক্ষিত দর্শক বিপুল আকারে আমরা এখনো তৈরি করতে পারিনি।

রুচিশীল দর্শক তৈরি না হওয়ার পেছনে একটি বড় কারণ আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা। একে তো আমরা বাংলা মাধ্যমে শিক্ষাদানকে অনুৎসাহিত করে ইংরেজি মাধ্যমকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। এতে বাংলায় ভালো আধেয় সৃজনের সম্ভাবনা কমে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা যথেষ্ট ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় শিক্ষার্থীরা যা শিখছে এবং যেভাবে শিখছে, তা শিল্প সৃষ্টি ও উন্নত কাজকে তারিফ করার মতো জ্ঞান সে অর্জন করতে পারছে না। এই না পারাটা ব্যক্তির ব্যর্থতা নয়। সামাজিক ব্যর্থতা। ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতে যে সমন্বিত ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রয়োজন, সর্বপ্রথম আমাদের সেটা বুঝে উঠতে হবে। পরিতাপের বিষয় আমরা আসলে বুঝতেই পারছি না, আমাদের যে গোড়ায় গলদ রয়ে যাচ্ছে।

বিধান রিবেরু

সম্পাদক, সিনেমা দর্শন

আমরা কি সত্যিই চলচ্চিত্রকে ভালোবাসি

সেকেন্ডে চব্বিশ ফ্রেমের প্রেমে পড়া লোকের সংখ্যা গুণে শেষ করা যাবে না। এই প্রেমিকদের অধিকাংশই দর্শক। তাদের দিকে তাকিয়েই চলচ্চিত্র নির্মাণে প্রযোজক পয়সা ঢালেন, তাদের উপর চলচ্চিত্রের জাদুপ্রভাব দেখেই ছক পরিকল্পনা করে রাষ্ট্র। এখানে  ভ্লাদিমির লেনিনকে স্মরণ করতেই হয়। রাষ্ট্রনায়কদের ভেতর তিনিই প্রথম চলচ্চিত্রের শক্তিকে অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। মস্কোতে তৈরি করেছিলেন দুনিয়ার প্রথম চলচ্চিত্র বিদ্যালয়। পয়লা বিশ্বযুদ্ধ শেষে ও বিপ্লবী সরকারের যাত্রা শুরুর পরপরই লেনিন বলেছিলেন, অন্য শিল্পের চেয়ে চলচ্চিত্রই হলো তাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিল্প। যে সময় চলচ্চিত্রকে নেহায়েত স্বস্তা বিনোদন হিসেবেই বিবেচনা করা হতো, তখন লেনিন একে বলছেন

পুরোটা

শিল্পের স্বাধীনতাই সবকিছু : স্টিভেন স্পিলবার্গ

‘জস’, ‘ই.টি. দ্য এক্সট্রা-টেরেস্ট্রিয়াল’, ‘ইন্ডিয়ানা জোনস’…, বলে শেষ করা যাবে না, এগুলো হলিউডের ব্যবসা সফল ছবি, এ ছাড়া তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ‘এম্পায়ার অব দ্য সান’, ‘শিন্ডলার্স লিস্ট’, ‘সেভিং প্রাইভেট রায়ান’-এর মতো আধুনিক ধ্রুপদী, হৃদয় ছোঁয়া চলচ্চিত্র। তাঁকে বলা হয় নতুন হলিউড যুগের পুরোধা ব্যক্তিত্ব। একই সঙ্গে তিনি দখল করে আছেন গোটা চলচ্চিত্র ইতিহাসের জনপ্রিয় নির্মাতার আসনটি। এককথায় তিনি বর্তমান বিশ্বের একজন অন্যতম সফল পরিচালক,  প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার। তিনি স্টিভেন স্পিলবার্গ। ১৯৪৬ সালের ১৮ ডিসেম্বর স্পিলবার্গ জন্মগ্রহণ করেন যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের সিনসিনাতিতে। কৈশোর থেকেই তিনি সম্পৃক্ত চলচ্চিত্রের সঙ্গে। ছাত্রাবস্থায় স্পিলবার্গ

পুরোটা
চিত্রনাট্য

মন বাকসো

কাহিনী, সংলাপ ও গান রচনা: তুষার আবদুল্লাহ সম্ভাব্য পরিচালক: অঞ্জন দত্ত   সারসংক্ষেপ নির্জন চৌধুরী কবিতা লেখেন। কবিদের কাগজে বা কম্পিউটারে কবিতা লিখতে দেখা যায়। কিন্তু নির্জন চৌধুরী কবিতা লিখেন ক্যানভাসে। নিজেই কবিতার চারপাশে অলংকরণ করেন। নির্জন চৌধুরীর মেয়ে মৈত্রী। মৈত্রীর সঙ্গে নির্জন চৌধুরীর সম্পর্কটা কেবল বাবামেয়ের নয়। তারা একে অপরের ভাল বন্ধু। মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া। চলাফেরা পাশ্চাত্যের আদলে। নিজস্ব একটা বন্ধুত্বের গন্ডির মধ্যে কার চলাফেরা। বন্ধুরাও আধুনিক চলন-বলনে অভ্যস্ত। নির্জন চৌধুরী কবিতা লিখেই দিনযাপন করেন। পৈত্রিক সম্পত্তি অগাধ, তাই রুটি রুজির জন্য তার অন্য জীবিকার কথা ভাবতে হয়না। একই কারনে টান পড়েনা মৈত্রীর

পুরোটা