'মাল্যবান' উপন্যাসে শবকাম বা নেক্রোফিলিয়ার গল্প শুনতে শুনতে উৎপলার মধ্যে যৌনতাবোধ জাগ্রত হচ্ছে। পিয়ের পাওলো পাসোলিনির সিনেমায় বিকৃত যৌনতা যেন একেকটি চরিত্র।
এর দীর্ঘ ইতিহাস যেমন আছে, আছে রাজনীতি, অর্থনীতি, দর্শন, ধর্মতত্ত্ব, মনস্তত্ত্ব ও সমাজনীতির মতো বিষয়ের সঙ্গে এর গভীর সম্পর্ক।
নোবেলজয়ী লেখক এলফ্রিডে ইয়েলিনেকের 'দ্য পিয়ানো টিচার' পড়তে পড়তে দমবন্ধ হয়ে আসছিল। বিকৃত যৌনতা সেখানে কিভাবে একটি ব্যক্তিসত্তাকে নিয়ন্ত্রণ করছে।মার্গারিত দ্যুরাসের 'দ্য লাভার'-ও তাই।
জেমস জয়েস তাঁর প্রেমিকার প্যান্টি পকেটে নিয়ে ঘুরে বেরাতেন ও সময়ে সময়ে গন্ধ শুকতেন।
জীবনানন্দ দাশের ডায়েরি ও লেখায় এই চোরাগোপ্তা যৌন বিকৃতি আছে। আসলে আমরা সবিশেষ হতে চেয়ে বিশেষকে ভুলতে বসেছি।
একটি মেয়ে যখন একটি মেয়েকে চুমু খায়, যেমন দেখি জীবনানন্দ ও কমলকুমারে, আমরা ভুলে যাই লেসবিয়ানিজম এক সাধারণ যৌনতার প্রকাশ।
বাংলায় যৌনতা, অশ্লীলতা, পর্নোগ্রাফি নিয়ে অনেক সংখ্যা হয়েছে, কিন্তু বিকৃত যৌনতা নিয়ে প্রায় ৩৫০ পৃষ্ঠার এরকম একটি সংখ্যা আমার কাছে নতুন।
আর স্নেহাশিসের সৌজন্যে আমিই বোধহয় প্রথম কপিটি সংগ্রহ করেছি।
'কালি কলম ও ইজেল'-এর সম্পাদককে ধন্যবাদ।
চোরাস্রোত-ই জলের প্রকৃত ধর্ম।আমরা তো সব নিরাপদ জলে সাঁতার কাটি।