প্রসঙ্গ চলচ্চিত্রে সংস্কার

বিধান রিবেরু প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০২৪, ০৮:০১ পিএম

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর চলচ্চিত্রাঙ্গনে আওয়াজ উঠেছে সংস্কারের। সেন্সরশিপ প্রথা থেকে শুরু করে চলচ্চিত্র শিক্ষা পর্যন্ত, চলচ্চিত্রে অনুদান প্রদান থেকে শুরু করে চলচ্চিত্রে কর্মপরিবেশ পর্যন্ত। দাবি উঠেছে বাংলাদেশেও ফিল্ম কমিশন গঠন করা হোক। উদ্যোগ নেওয়া হোক চলচ্চিত্র কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার। চলচ্চিত্র বিষয়ক সরকারি কমিটিগুলো হোক সরকারি আমলার নিয়ন্ত্রণ মুক্ত। এবং শিগগিরই চালু হোক বক্স অফিস ও ই-টিকেটিং সিস্টেম।

 

এসব দাবি পুরোনো, কিন্তু যেহেতু দীর্ঘদিন পর ক্ষমতার পালা বদল হয়েছে, তাই সকলে মিলে পুরোনো দাবিগুলোই আবার নতুন করে বলতে শুরু করেছেন। এখন বিষয় হলো চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা তাদের প্রত্যাশা ও দাবির কথা জানিয়েছেন, কিন্তু সেসব বাস্তবায়ন কিন্তু করবে রাষ্ট্র বা সরকার।

 

রাষ্ট্র পরিচালনাকারী সরকার যদি চলচ্চিত্রকে গুরুত্বপূর্ণ মনে না করেন, তাহলে এই সকল দাবি, স্রেফ দাবিই থেকে যাবে। তাই প্রথম কাজ হলো সরকারকে বোঝানো যে চলচ্চিত্র শুদ্ধ শিল্প নয়, বিশুদ্ধ বাণিজ্যও নয়। এর ক্ষমতা অপরিসীম। একে আমরা কালচারাল ডিপ্লোমেসির অংশ করতে পারি। প্রতিষ্ঠা করতে পারি সফট পাওয়ার হিসেবে। এটা বোঝাতে পারলেই এদেশে সিনেমার অগ্রগতি সম্ভব।