এই মহিলাটির প্রেমে বারবার পড়তে ইচ্ছে করে।জোয়ান বায়েজ।এখন ৮১! এখনও সামনে এসে দাঁড়ালে বুক কাঁপবে।বয়সের সৌন্দর্য কাকে বলে তাঁকে দেখলে টের পাওয়া যায়।
আসলে এমন কিছু মানুষ থাকেন যাঁদের না ভালোবেসে পরিত্রাণ নেই।শুধু তাঁদের কাজের জন্য নয়, আস্ত অমন একটা সত্তা ও অস্তিত্বের ঈশ্বর বলে।
শুধু তো গান নয়, মানুষটা নিজেই একটা কন্ঠস্বর।যখন কোনও অন্যায়, অবিচার বা অনর্থ ঘটেছে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন।সে যুদ্ধ হোক, রাজনৈতিক আন্দোলন হোক, সমকামীদের অধিকারের পক্ষে রুখে দাঁড়ানো হোক বা পশুদের রক্ষা হোক।
বব ডিলানের সাথে একসময় গান গেয়েছেন, বলা যায় একে অপরের পরিপূরক ছিলেন, প্রেমে পড়েছেন, কিন্তু প্রেম ভেঙে যাওয়ার পর একে অপরের কুৎসা রটায়নি।
অন্তরের সবটুকু দরদ ঢেলে বাংলাদেশের জন্যও গান গেয়েছেন জোয়ান। 'সং অব বাংলাদেশ' শিরোনামের গানটি রচনার প্রেক্ষাপট ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাত। সেই রাতে বাংলাদেশের নিরস্ত্র মানুষের ওপর রক্তপিপাসু হিংস্র পাকিস্তান বাহিনীর নৃশংসতায় ক্ষুব্ধ হন, আহত হন জোয়ান। ব্যথিত হৃদয়ে হাতে তুলে নেন গিটার। রচনা করেন অনবদ্য সৃষ্টি ‘দ্য সং অব বাংলাদেশ’।
তিনি গানটি লিখেছিলেন ম্যাডিসন স্কয়ারে অনুষ্ঠিত ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠানে গাওয়ার জন্য। ১৯৭১ সালের ১ আগস্ট অনুষ্ঠিত ওই কনসার্টের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন বিটলস তারকা জর্জ হ্যারিসন। তবে জোয়ান কনসার্টে অংশ নিতে পারেননি। তার কম্পোজ করা গানটি তিনি ১৯৭১ সালের শেষের দিকে একাধিক মঞ্চে গেয়েছেন। ২২ বার 'বাংলাদেশ' শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে গানটিতে।
Bangladesh Bangladesh
Bangladesh Bangladesh
When the sun sinks in the west
Die a million people of the Bangladesh
এহেন বায়েজের আত্মজীবনী 'অ্যান্ড আ ভয়েস টু সিঙ্গ উইথ' যেদিন এসে পৌঁছল তখন আর পায় কে! আর কি আশ্চর্য বইটা শুরু হচ্ছে রবীন্দ্রনাথকে দিয়ে:
God respect me when I work. He loves me when I sing.
যখন আমাদের ঠোঁট ও কণ্ঠ আছে চুমু খাওয়া ও গান গাওয়ার জন্য, তখন কোন হতচ্ছাড়া বসন্তকে মাপবার যন্ত্র আবিষ্কার করল তাকে কে কেয়ার করে? কামিংসের এই কবিতাটির যোগ্য ধারক ও বাহক জোয়ান বায়েজ।