একবিংশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে গত রোববার (২২ জানুয়ারি)।
জাতীয় জাদুঘরের মূল মিলনায়তনে অতিথি, জুরি ও বিভিন্ন দেশ থেকে আসা নির্মাতা, প্রযোজকদের উপস্থিতিতে ঘোষণা করা হয় এবারের উৎসবে বিজয়ী ছবি, তথ্যচিত্র, নির্মাতা, অভিনেতা, অভিনেত্রী ও চিত্রগ্রাহকের নাম।
অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী।
সমাপনী অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ শিশু চলচ্চিত্র ‘বাদল রহমান পুরস্কার বিজয়ী’ চলচ্চিত্র হল মাজেল আ তায়েম্ফস্তভি লেসা (মার্টিন অ্যান্ড দ্যা ম্যাজিকাল ফরেস্ট),(চেক প্রজাতন্ত্র, স্লোভাকিয়া, জার্মানি)।
এশিয়ান চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতা বিভাগে পোডেলনিকি (দ্যরাশিয়া; চলচ্চিত্রটির জন্য সেরা সিনেমাটোগ্রাফি পুরস্কার বিজয়ী হন মিস্টার আর্টিওম আনিসিমভ। ভারতের অপরাজিত (দ্যা আনডিফিটেড) ছবির জন্য সেরা স্ক্রিপ্ট রাইটার মি. অনিক দত্ত। ভারতের প্রপেদা (হকস মাফিন) ছবিটির জন্য সেরা অভিনেত্রী কেতকী নারায়ণ। নাকোডো-ম্যাচমেকারস (ম্যারেজ কাউন্সেলর), জাপান; চলচ্চিত্রর জন্য সেরা অভিনেতা মিস্টার ইক্কেই ওয়াতানাবে। জেন্দেগি ভা জেন্দেগি (লাইফ অ্যান্ড লাইফ),ইরান; চলচ্চিত্রের জন্য সেরা পরিচালক আলী ঘাভিতান। শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পুরস্কার পান দ্বি-মাদার (মাদারলেস), ইরান।
বিশেষ অডিয়েন্স পুরস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্র হল জে কে ১৯৭১,বাংলাদেশ। অডিয়েন্স পুরস্কার জয়ী চলচ্চিত্র হল হাওয়া,বাংলাদেশ। স্পিরিচুয়াল ফিল্ম সেকশনে সেরা তথ্যচিত্র মহাত্মা হাফকাইন রাশিয়া। সেরা ফিচার ফিল্ম ঘোর ফেরা (ঘরে ফেরা)
উইমেন ফিল্মমেকারস সিকশনে সেরা তথ্যচিত্র আওয়ার মাদার,গ্র্যান্ডমাদার,প্রাইম মিনিস্টার : সিরিমাভো। অ্যালে উলেন গেলিয়েবট ওয়ের্ডেন (এভরিবডি ভালোবাসতে চায়), জার্মানি; চলচ্চিত্রের জন্য সেরা পরিচালক ক্যাথেরিনা ওল। সেরা ফিচার ফিল্ম অ্যাকাউসে মি (লিসেন)।
মহাত্মা হাফকাইন ডির: গ্যালিনা ইভতুশেঙ্কো, আনা ইভতুশেঙ্কো সময়কাল: ৯৬ মিনিট। রাশিয়া সেরা ফিকশন ফিল্ম ঘরে ফেরা (হোম কামিং),বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ প্যানোরমা সেকশনে সেরা চলচ্চিত্র অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে `সাতাঁও`। সেরা সল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র সেকশনের প্রথম রানার আপ হাঘরে। এই সেকশনের দ্বিতীয় রানার আপ চলচ্চিত্র - কৃষ্ণপক্ষ।
এবারের এ উৎসবে এশিয়ান প্রতিযোগিতা বিভাগ, রেট্রোস্পেকটিভ, বাংলাদেশ প্যানারোমা, ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, সিনেমা অব দ্য ওয়ার্ল্ড, শিশুতোষ চলচ্চিত্র, স্পিরিচুয়াল, উইমেন্স ফিল্মমেকার, স্বল্পদৈর্ঘ্য ও স্বাধীন চলচ্চিত্র বিভাগে ৭১টি দেশের ২৫২টি সিনেমা প্রদর্শিত হয়েছে।
একবিংশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রতিদিন পাঁচটি ভেন্যুতে দেখানো হয়েছে ১২৯টি পূর্ণদৈর্ঘ্য ও ১২৩টি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও স্বাধীন চলচ্চিত্র। এর মধ্যে ৮১টি বাংলাদেশের চলচ্চিত্র। ভেন্যুগুলো হলো জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তন ও কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তন, শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা ও নৃত্যশালা মিলনায়তন, অঁলিয়স ফ্রঁসেজ মিলনায়তনে প্রতিদিন সকাল ১০টা ৩০ মিনিট থেকে এসব সিনেমা প্রদর্শিত হয়েছে।
(কৃতজ্ঞতা: সংবাদ প্রকাশ)